নিজস্ব প্রতিবেদক :
মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, নির্ধারিত ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা বৃদ্ধি- এই তিন দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে সারাদেশ থেকে আসা বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন।
এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। দুই মাসেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন নয় এর আগে ১৩ আগস্ট শিক্ষক সমাবেশে শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা কর্তৃক এমপিওভুক্তদের জন্য কয়েকটি সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
তার মধ্যে ছিল— মূল বেতনের ২০% হারে বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসাভাতা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫% এ উন্নীত করা। তবে দুই মাস পার হলেও এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
অপরদিকে, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়, যা শিক্ষক মহলে আরও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। রাজপথে চাপ, আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন এনসিপি নেতারাও রোববার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন, ফলে পল্টন থেকে হাইকোর্টের কদম ফোয়ারা মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
এদিকে, নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন— দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম সদস্যসচিব ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি না হলে এই অবস্থান আরও তীব্র হবে।
তাদের দাবি, যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা পূরণ না করে কেবলমাত্র সামান্য বরাদ্দ দিয়ে আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না।
এমপিওভুক্তদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলেও দাবিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে।