আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশ।
তালেবান সরকারের স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, শুধুমাত্র একটি গ্রামেই ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৫ জন আহত হয়েছে। এখনো প্রদেশজুড়ে আফটারশক অনুভূত হচ্ছে বলে তিনি সতর্ক করেন। আরেক কর্মকর্তা বলেন, “মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ হতে পারে।”
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো দুর্গম হওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ভূমিধস ও বন্যায় অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে, কোথাও আবার মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে সঠিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে। এর পর অন্তত তিন দফা আফটারশক রেকর্ড করা হয়, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২ পর্যন্ত।
কুনারের পাশাপাশি রাজধানী কাবুলেও কয়েক সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের ইসলামাবাদেও ঝাঁকুনি টের পাওয়া গেছে।
আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ একটি দেশ। ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থান করার কারণে প্রায়ই সেখানে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানে। ২০২২ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং আহত হয়েছিল আরও তিন হাজার। সেটিই ছিল গত দুই দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পজনিত বিপর্যয়।