অনলাইন ডেস্ক,
লোকলজ্জা ও মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের সোনালীরকুটি গ্রামে ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এক নারী, যা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর লজ্জা ও সামাজিক চাপ সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গৃহবধূর (বিয়ানি) সঙ্গে তাঁর স্বামীর ভাইয়ের অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে তিনি চরম লজ্জা ও অপমানবোধে ভুগছিলেন। সেই সূত্রে মিজান হয়ে যান হাকিমের মেয়ের শ্বশুর—অর্থাৎ বিয়াই।
মেয়ে বিবাহিত হওয়ার পর, মিজান নিয়মিত আসতেন হাকিমের বাড়িতে। দীর্ঘদিন যাতায়াতের একপর্যায়ে গড়ে ওঠে হাকিমের স্ত্রী ও মিজানের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক। গত মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাতে স্থানীয়রা মিজানকে বিয়ানির ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এ সময় আত্মহত্যাকারীর দেবর তাইজুদ্দিনের স্ত্রী ও অন্য একজন আত্মীয় ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। পরে মিজান পালিয়ে যায়।
ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে, চরম অপমান ও মানসিক চাপে পড়ে বুধবার রাতে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিয়ানি।
ঘটনার বিষয়ে ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, তিনি মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবহিত করেন।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।