আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির বলেছেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধ তখনই শেষ হবে না যখন পর্যন্ত নিহত ইসরায়েলি বন্দিদের দেহগুলো পুরোপুরি দেশে ফেরানো হবে না। ২০২৬ সালে প্রবেশের আগে সামরিক বাহিনীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও যুদ্ধের অভিজ্ঞতা মূল্যায়নের অংশ হিসেবে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের সামরিক সম্মেলনে সোমবার তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পর্যায়ের কমান্ডারদের সহ সব অপারেশনাল ইউনিটের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। আইডিএফ জানায়, এই সম্মেলন হচ্ছে নতুন এক ‘শিক্ষণ প্রক্রিয়ার’ সূচনা—যেখানে সাম্প্রতিক যুদ্ধে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের প্রস্তুতি গৃহীত হবে। আগামী সপ্তাহে রিজার্ভ বাহিনীর কমান্ডাররাও একই ধরনের সভায় অংশ নেবেন বলে পরিকল্পনা আছে।
জানাতে গিয়ে জামির বলেন, “আইডিএফ ভবিষ্যতের দিকে নজর রাখছে, কিন্তু অতীত থেকে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাঁধে নিয়ে। শিক্ষা নেওয়া এবং অভিজ্ঞতার পরিমার্জন আমাদের নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব — এ কাজ আমরা দৃঢ় সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে করব।” তিনি আরও যোগ করেন, “এ মুহূর্তে প্রধান কাজ হলো সৈন্য ও তাদের পরিবারের যত্ন নেয়া, সংগঠনগত শৃঙ্খলা জোরদার করা, এবং সীমানায় নেমে আসা নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া।”
জামির স্পষ্ট করে বলেন, “যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। নিহত বন্দিদের দেহ ফিরিয়ে আনার যন্ত্রণাপূর্ণ ও পবিত্র কাজটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে এবং হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
সম্মেলনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অপারেশনাল ও গোয়েন্দা তথ্য উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। একই অনুষ্ঠানে এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিপ্রাপ্ত দুই বন্দি এমিলি দামারি ও লিরি আলবাগ, নিহত সৈনিকোর তাল হাইমির স্ত্রী এলা হাইমি এবং নিহত ক্যাপ্টেন ড্যানিয়েল পেরেজের বাবা রাব্বি দোরন পেরেজ।
তথ্য মতে, তাল হাইমি ও ড্যানিয়েল পেরেজ—দুজনই ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে নিহত হন; তাদের দেহ হামাস গাজায় নেয়ার পর এই মাসের শুরুর দিকে আইডিএফ তা উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনে।
আইডিএফের এ সম্মেলনকে গাজা যুদ্ধে অর্জিত পাঠ বিশ্লেষণ, ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ এবং সৈন্যদের মানসিক ও কাঠামোগত প্রস্তুতি জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।