অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। আরও অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, “এই হামলাগুলো প্রমাণ করে মস্কো এখনো যথেষ্ট আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েনি এবং তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ অটুট।”
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, বুদাপেস্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, তিনি “অকার্যকর কোনো বৈঠক চান না।”
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও ক্রেমলিন তা প্রত্যাখ্যান করে।
এদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে তারা যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি রাসায়নিক কারখানায় হামলা চালায়। ইউক্রেনীয় সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, ওই কারখানায় রাশিয়া গোলাবারুদ, বিস্ফোরক এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উপাদান প্রস্তুত করছিল।
অন্যদিকে, জেলেনস্কি সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করলেও দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে রাজি করাতে ব্যর্থ হন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে।
জেলেনস্কির ভাষায়, “টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতেই রাশিয়া কূটনৈতিক পথে ফিরে আসার পরিবর্তে আবার হামলার পথ বেছে নিয়েছে।”
মঙ্গলবার রাতের হামলায় কিয়েভ অঞ্চলে একটি উঁচু ভবনে রুশ ড্রোনের আঘাতে ষাটোর্ধ্ব এক দম্পতি নিহত হন। একই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন এক নারী, ছয় মাস বয়সী একটি শিশু এবং ১২ বছর বয়সী এক কন্যা।