আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজা শহরের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক সায়েদ আল-হাশিম মসজিদ আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে— দীর্ঘ দুই বছর পর।শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, মসজিদটির দরজা খুলে দিলে প্রথমবারের মতো জুমার নামাজ আদায়ের জন্য সেখানে সমবেত হন স্থানীয় মুসল্লিরা। যুদ্ধের ক্ষত কাটিয়ে এমন এক স্থানে আবারো প্রার্থনায় অংশ নিতে পারা ছিল অনেকের জন্য চোখ ভিজিয়ে দেওয়া মুহূর্ত।
মসজিদ নয়, যেন আশা ও প্রতিরোধের প্রতীক:
দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা এই মসজিদটি গাজাবাসীর কাছে শুধু নামাজের জায়গা নয়, এটি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় চেতনার প্রতীক। যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ হয়ে গেলে অনেকের মধ্যেই একধরনের মানসিক শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। তাই এর পুনরায় খোলাকে স্থানীয়রা দেখছেন “আশা, ঐক্য এবং পুনর্গঠনের সূচনা” হিসেবে।
স্থানীয়দের চোখে অনুভূতি:
স্থানীয় মুসল্লিরা আল জাজিরাকে বলেন, “এই মসজিদে ফিরে আসা যেন হারিয়ে যাওয়া নিজের ঘরে ফেরা। দুই বছর আমরা প্রার্থনার এই জায়গাটাকে ভীষণভাবে মিস করেছি।” সায়েদ আল-হাশিম মসজিদের পুনরায় খোলা শুধু একটি ধর্মীয় স্থাপনার পুনর্জাগরণ নয়— এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জন্য আত্মার আরেকটি পুনরুদ্ধার।
প্রসঙ্গত:
সায়েদ আল-হাশিম মসজিদটি গাজার অন্যতম পুরনো ইসলামিক স্থাপত্য নিদর্শন। এটি হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর দাদু হাশিম ইবনে আব্দ মানাফের কবরস্থান হিসেবেও পরিচিত, যা মুসলিম বিশ্বে একে বিশেষ গুরুত্ব দেয়।