আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় চলা সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি রক্ষায় গঠনযোগ্য আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীতে (International Stabilization Force) সেনা পাঠানোর শীর্ষপ্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়ার নাম এগিয়ে আছে—এমন তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো, সূত্র হিসেবে নাম করা হয়েছে এক বর্তমান ও এক সাবেক মার্কিনী প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাকে।
এখনো আনুষ্ঠানিক সম্মতি নেই পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তিন দেশই সম্ভাব্য সরবরাহকারী হিসেবে তালিকায় সম্মুখপন্থায় রয়েছে; তবু এখনও কোনো দেশ আনুষ্ঠানিক সম্মতি দেয়নি।
এর আগে আরও দেশের নাম উঠে আসে—মিশর, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) নিয়েও আলোচনা হয়েছে; তাদেরও গাজায় স্থিতিশীলতা বাহিনীতে কোনোভাবে ভূমিকা থাকতে পারে বলে সূত্র দাবি করেছে।
🇮🇩 ইন্দোনেশিয়া প্রকাশ্যে প্রস্তুত এখন পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া একমাত্র দেশ যে প্রকাশ্যে বলেছে তারা সৈন্য পাঠাতে পারে। সংস্থাটি জানিয়েছে, জাতিসংঘের ম্যান্ডেটে শান্তিরক্ষী অভিসারে তারা ২০ হাজার সেনা পর্যন্ত মোতায়েনের সম্ভাব্যতা বিবেচনা করতে পারে।
তবে পলিটিকোতে আলোচিত মার্কিন পরিকল্পনায় জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের স্পষ্ট উল্লেখ নেই, ফলে বাস্তবায়ন কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
মিশন কাঠামো ও যৌথ স্থাপনা পলিটিকো আরও জানিয়েছে—কাতার, ইউএই ও মিশরের সেনারা ইসরাইলি অভ্যন্তরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সঙ্গে কোনো সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থান করতে পারে, যাতে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণই মার্কিন নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনার পরবর্তী বড় লক্ষ্য। 🇺🇸 ট্রাম্পের মন্তব্য ও কূটনৈতিক প্রসঙ্গ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকদিন আগে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে — এমন বক্তব্যও উত্থাপিত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনই কাঠামো ও অংশগ্রহণকারীদের চূড়ান্ত করা গুরুত্বপূর্ণ; এতে পরিকল্পনার প্রতি আস্থা ফিরে পেতে সহায়তা হবে।
বিশ্লেষণ: বাস্তবায়ন পর্যন্ত কতটা সহজ?
সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ড্যানিয়েল শাপিরো মনে করেন—অবিলম্বে ম্যান্ডেট, অংশগ্রহণকারী দেশ, এবং মোতায়েন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা উচিত, যাতে দ্রুত বাস্তব পদক্ষেপ দেখানো যায়।
অনিশ্চিততা এবং রয়েছে কূটনৈতিক-প্রশাসনিক জটিলতা; বিশেষত জাতিসংঘ ম্যান্ডেট না থাকলে আন্তর্জাতিক বৈধতা ও লগিস্টিক কঠিন হতে পারে।