নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলার আশঙ্কায় হঠাৎ করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দূতাবাস এলাকাজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশের স্পেশাল অ্যাকশন ফোর্স (সোয়াত), কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি) ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
পুলিশ জানায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একাধিক সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে, যাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দূতাবাস কর্তৃপক্ষ পুলিশের সঙ্গে শেয়ার করেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা করছিল একটি চক্র। তাদের একজন নয়, তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদের ছবি, নাম ও ঠিকানা ইতোমধ্যে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ পুলিশের হাতে দিয়েছে।
জানা গেছে, দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে পাঠায় এবং নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ জানায়। এরপরই ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট, বিশেষ করে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি, এটিইউ ও সিটিটিসি, একযোগে নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু করে। রাজধানীর বারিধারা এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, দূতাবাসের চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সেখানে সোয়াত সদস্যরাও অবস্থান করছে। গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজে উপস্থিত থেকে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করছেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও সোয়াত টিম হামলার আশঙ্কায় দূতাবাসের চারপাশে তল্লাশি ও প্রস্তুতিমূলক অবস্থানে রয়েছে সিটিটিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সময় সন্দেহভাজনদের পরিচয় ও ছবি দূতাবাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কায় দূতাবাস এলাকাজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলোতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। তাই এ ধরনের আগাম প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।