অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, যদি সব পক্ষ আজ সম্মত হন, তবে গাজায় আজই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা যেতে পারে। তিনি জানান, সব পক্ষই বন্দি ও জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
ফিদান সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেছেন—খবর টাইমস অব ইসরায়েলের। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে চারটি মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা চলছে এবং এই বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে ইতোমধ্যে অনেক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ওই চারটি বিষয় হল—ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের সীমারেখা, মানবিক সহায়তা, এবং সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী।
অপর দিকে গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরের শার্ম এল-শেইখে চলমান আলোচনা ইতিবাচক হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল-ফাত্তাহ এল-সিসি। বুধবার কায়রোতে এক পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি (প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা) শার্ম এল-শেইখে পৌঁছে গেছে এবং তিনি আলোচনাস্থল থেকে পাওয়া খবরকে খুবই আশা জাগানো হিসেবে দেখছেন।
সিসি জানিয়েছেন, মিসর যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে এবং তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতি, বন্দি-আটকদের মুক্তি, গাজা পুনর্গঠন এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে পথচলা সম্ভব হবে।
চূড়ান্ত চুক্তি প্রণয়নের ক্ষেত্রে যদি চলমান আলোচনার মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তা স্বশরীরে স্বাক্ষর করার জন্য মিসরে আমন্ত্রণ জানান সিসি।