July 27, 2025, 9:30 am
Headline :
বিএনপি’র আহবায়ক গোলাম রসুল রাজাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ রৌমারীর যাদুর চরে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও গণ সংযোগ কুড়িগ্রামে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজগঠনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের দুর্ঘটনায়নিহতদের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা সিদ্ধিরগঞ্জে দোয়া তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদ মিছিল সিদ্ধিরগঞ্জে চাদার টাকা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধার দোকান ভাঙচুর নির্বাচনকে পিছিয়ে নেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে: গিয়াস উদ্দিন রাশিয়ায় ৫০ আরোহী নিয়ে বিমান নিখোঁজ রৌমারীতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ-গণ সংযোগ আরও ১৩ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা

পাইলট তৌকিরের শেষ বার্তা কী ছিল?

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না…মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।

রাজধানীর কুর্মিটোলা পুরাতন বিমানঘাঁটি থেকে সোমবার (২১ জুলাই) বেলা সোয়া ১টার দিকে এফ-৭ যুদ্ধবিমান নিয়ে একক উড্ডয়ন (সলো ফ্লাইট) করেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম। এটি ছিল তার প্রথম সলো ফ্লাইট, যা বৈমানিক প্রশিক্ষণের সর্বশেষ ও সবচেয়ে জটিল ধাপ। এ পর্যায়ে পাইলটকে কোনো সহকারী, নেভিগেটর বা প্রশিক্ষক ছাড়াই একা বিমান পরিচালনা করতে হয়।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি উত্তরা, দিয়াবাড়ি, বাড্ডা, হাতিরঝিল ও রামপুরার আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এর মধ্যে হঠাৎই বিমানটির আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। তখন পাইলট কন্ট্রোল রুমে জানান, ‘বিমান ভাসছে না…মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে। তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুম থেকে ইজেক্ট (বিমান থেকে বের হয়ে যাওয়া) করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যান। সর্বোচ্চ গতিতে তিনি বিমানটি বেসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।

এর মধ্যেই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। জানা গেছে, ট্রেনিংয়ের এই সর্বশেষ ধাপে একজন বৈমানিককে সলো বা এককভাবে বিমান চালাতে হয়, যা তার স্কিল ও প্রস্তুতির সর্বোচ্চ পরীক্ষা।

বিমানবাহিনীর সাবেক একাধিক কর্মকর্তা জানান, যেকোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ফ্লাইট জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরেই হয়ে থাকে। তবে সলো ফ্লাইট সাধারণত নগরাঞ্চলেই হয়ে থাকে। এ ধরনের ফ্লাইটের জন্য পাইলটকে যথেষ্ট দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হয়। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির তেমনই একজন পাইলট ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page