October 27, 2025, 10:18 pm
Headline :

নীলফামারীতে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, খোলা আকাশের নিচে অসংখ্য পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম বানিয়াপাড়া গ্রামে টানা দুই দিনের ভারি বৃষ্টির পর রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুরো এলাকা। কয়েক মিনিট স্থায়ী তীব্র ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি, আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন, যাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঝড়ের তাণ্ডবে অসংখ্য কৃষি ফসল — বিশেষ করে ধান, কলা, ভুট্টা, পেঁয়াজ ও রসুন ক্ষেত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে শতাধিক গাছ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাজার এলাকার একাধিক দোকান। ঝড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

মুহূর্তেই সব শেষ

স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, “ঝড়টা মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী হলেও তার মধ্যেই চারপাশের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। আমাদের ফসলও শেষ। কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব বুঝতে পারছি না।”

একই গ্রামের নাসিমা বেগম বলেন, “সকালে রান্না করছিলাম। হঠাৎ ঝড়ের শব্দ শুনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের চালা উড়ে গেল। এখন মাথার ওপর ছাদ নেই, সামনে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।”

ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোনাব আলী জানান, “সকালের ঝড়ে তিনটি গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বা جزভবাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত ৩০ জনের মধ্যে গুরুতর ৫ জনকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশেপাশের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”

প্রশাসনের তৎপরতা

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, “দুর্যোগের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিস পাঠানো হয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে এবং খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page