নিজস্ব প্রতিবেদক
চলমান চাঁদাবাজি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে আবারও আলোচনায় এলেন মডেল মেঘনা আলম। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে কোরআন শরীফ হাতে গণমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “সৌদি রাষ্ট্রদূতকে আমি রিজেক্ট করেছি। তার দেওয়া সব উপহার ফেরত দিয়েছি। তবে ধর্মীয় অনুভূতির কারণে তার দেওয়া কোরআন, বোরকা ও জায়নামাজ নিজের কাছে রেখেছি।”
মেঘনা অভিযোগ করেন, সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রভাবেই তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা চলছে। তিনি বলেন, “একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ইশারায় আমাদের বিচারব্যবস্থা কেন থমকে থাকবে? আমাকে কেন দিনের পর দিন মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হচ্ছে? সরকার নাকি ওয়াদাবদ্ধ আমাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে— এটা কীভাবে সম্ভব?”
এদিন শুনানিতে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জব্দ হওয়া মোবাইল, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট ফেরত চাইলেও আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে মেঘনা বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরবর্তীতে চাঁদাবাজি মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেওয়া হয়। তবে ২৮ এপ্রিল আদালত তার আটকাদেশ বাতিল করে জামিনে মুক্তি দেন।
মামলার নথিতে অভিযোগ আনা হয়েছে, মেঘনা আলমসহ কয়েকজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র পরিচালনা করেন। তারা বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায় করতেন।
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনা আলমের সম্পর্কের বিষয়টি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।