অনলাইন ডেস্ক
ভারতের আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন গরম হয়ে উঠেছে। অক্টোবর-নভেম্বরে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বিভিন্ন দলের প্রচার-প্রচারণায় তীব্র আক্রমণ–প্রতিআক্রমণ চলছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর ইস্যুটি আবারও সামনে এসেছে এবং তা ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
সম্প্রতি এক সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ তোলেন— কংগ্রেস ও আরজেডি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে বিহারে জনসংখ্যাগত ভারসাম্য নষ্ট করছে। তাঁর দাবি, এর ফলে শুধু সামাজিক চাপই নয়, নারীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি হচ্ছে।
মোদির এই বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার পূর্ণিয়ায় এক সমাবেশে ওয়াইসি পাল্টা বলেন, “মোদিজি বলেছেন, বিহারে বাংলাদেশি আছে। আমি স্পষ্ট করে বলছি—বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী পূর্ণিয়ায়ও নয়। যদি বাংলাদেশিকে পাঠাতে হয়, তবে দিল্লিতে যে আপনার এক বোন আছেন, তাকেই আগে পাঠান। আমরা তাঁকে সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেব।”
ওয়াইসির এই বক্তব্যে সরাসরি ইঙ্গিত ছিল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের পর তিনি বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়াইসির এই মন্তব্য শুধু মোদির অভিযোগের জবাবই নয়, বরং বিহারের নির্বাচনী প্রচারণায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেল। মোদির “অনুপ্রবেশকারীর” বক্তব্য ঘিরে বিরোধী রাজনীতিকরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, তাতে ধারণা করা হচ্ছে—এই ইস্যু নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। বিহারের ভোটাররা কীভাবে এই বিতর্ককে গ্রহণ করবেন, সেটিই এখন দেখার বিষয়।