আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র তুচ্ছ করে দেখছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য মিত্রদেশের এই স্বীকৃতি কেবলমাত্র একটি “নাটকীয় প্রদর্শন”।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবালকে দেওয়া মন্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের মনোযোগ শুধু কার্যকর কূটনীতিতে, নাটকীয় উদ্যোগে নয়। জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক শান্তিই আমাদের অগ্রাধিকার।” তিনি চলমান সংকটের জন্য সরাসরি হামাসকে দায়ী করেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শান্তির সুযোগ ধরে রাখতে এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধান টিকিয়ে রাখতে এই পদক্ষেপ জরুরি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আশ্বাস দেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন—দু’পক্ষের জন্য শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে তারা কাজ করবেন।
কূটনৈতিক মহলের ধারণা, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলতি অধিবেশনে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, অ্যান্ডোরা এবং সান মারিনোর মতো দেশগুলোও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে। এতে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র ক্রমশ মিত্রদের থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “জর্ডান নদীর পশ্চিমে কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে না।” যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে এ বিষয়ে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অতি-ডানপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির আরও একধাপ এগিয়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরকে সরাসরি ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দেন, আসন্ন মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।
বর্তমানে জাতিসংঘের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত বছর আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও নরওয়েও আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
সূত্র: টিআরটি গ্লোবাল