অনলাইন ডেস্ক
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শোভা বাড়ি গ্রামে রাতের অন্ধকারে চিতাবাঘের হামলায় অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। রবিবার ভোর রাতে এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহালয়া উপলক্ষে গ্রামে পিকনিক চলছিল। এ সময় পাশের চা বাগান থেকে হঠাৎই একটি চিতাবাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে। প্রথমে এক কিশোরের উপর হামলা চালায় জন্তুটি। এরপর সোজা চলে যায় গ্রামের এক বাড়িতে।
ঠিক সেই সময় শৌচকর্মে বাইরে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা মায়া পাল (৬১)। আচমকা চিতাবাঘটি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং টুঁটি চেপে ধরে। বৃদ্ধাকে রক্ষা করতে গিয়ে পরিবারের আরও তিনজন আহত হন। চিতাবাঘের থাবায় তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
পরিবারের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে চিতাবাঘটি ঘরে ঢুকে পড়ে। পরে হৈচৈ বাড়তে থাকলে জন্তুটি ঘর থেকে বেরিয়ে পাশের চা বাগানে অদৃশ্য হয়ে যায়।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী, রাজদীপ বিশ্বাস ও প্রিতম রায়কে ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতর আহত মায়া পাল এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
খবর পেয়ে সকালে হাসপাতালে ছুটে যান সিপিএমের জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র। তিনি আহত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিকে, খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনোজ ঘোষ দ্রুত খাঁচা পেতে চিতাবাঘ ধরার দাবি জানান।
আহত বৃদ্ধার পুত্রবধূ রূম্পা পাল বলেন, “শাশুড়ির চিৎকার শুনে বাইরে আসতেই দেখি জন্তুটা আমাদের ঘরে ঢুকে পড়ে।”
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতভর টহলদারি চালায়। সকালে বন দফতরের কর্মীরাও গ্রামে যান। তবে এখনো পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।