আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নেপালে টানা দুই দিনের সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
জেনারেশন জেডের নেতৃত্বে হওয়া এই আন্দোলনে ক্ষুব্ধ জনতা অগ্নিসংযোগ করে প্রধানমন্ত্রী অলির ব্যক্তিগত বাসভবনে। তিনি তখন সরকারি বাসভবনে অবস্থান করায় প্রাণে রক্ষা পান। আগুন থেকে রক্ষা পাননি রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের বাড়িও। দরজা ভেঙে বিক্ষুব্ধরা ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়।
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি আরও কয়েকজন মন্ত্রী এবং সাবেক শীর্ষ নেতাদের বাড়িতেও হামলা হয়। যোগাযোগমন্ত্রী প্রীতি সুব্বা গুরুং-এর বাড়ি ও জ্বালানি মন্ত্রী দীপক খাড়কার বাড়ি পুড়ে যায়। আর্থিকমন্ত্রী বিষ্ণু পাওডেলের বাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল ‘প্রচণ্ড’ ও শেরবাহাদুর দেউবার বাড়িতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রতিবাদকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধেই নয়, সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং রাজনৈতিক নেতাদের পরিবারের বিশেষ সুবিধার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। প্ল্যাকার্ড হাতে তারা শ্লোগান তোলে—“দুর্নীতি বন্ধ করো, সামাজিক মাধ্যম নয়”।
এর আগে বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়।
এক বিক্ষোভকারী জানান, “আমাদের তরুণ ভাই-বোনেরা নিহত হয়েছে, আমরা ন্যায়বিচার চাই। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন সাধারণ মানুষ ভুগবে।”