অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাগুরা জেলায় বিএনপির দুই আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, মাগুরা-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান এবং মাগুরা-২ আসনে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর পুরো জেলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা যায় ব্যাপক উচ্ছ্বাস। আনন্দ মিছিল, শুভেচ্ছা বিনিময় আর স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে মাগুরা শহর ও আশপাশের এলাকা।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও মাগুরা-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসেন খান এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। পাশাপাশি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য।’
অন্যদিকে, একই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুরোধ করছি।’
এদিকে মাগুরা-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, মাগুরার দুই আসন থেকে ধানের শীষকে বিজয়ী করে আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিজয়ের উপহার দিতে চাই।
তবে মাগুরা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী রবিউল ইসলাম নয়ন এখনই হাল ছাড়ছেন না। তিনি বলেন, আমি মাগুরার সন্তান, তাই মাগুরার উন্নয়নে কাজ করা আমার রক্তে মিশে আছে। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সবসময় মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে- এটাই আমার স্বপ্ন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী মাঠের প্রেক্ষাপট প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হয়। তাই এখনই হাল ছাড়ছি না, শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করব মনোনয়নের জন্য। মাগুরা-২ আসনে প্রার্থিতা পরিবর্তনেরও কিছু বাস্তব কারণ থাকতে পারে। ঘোষিত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী দৌড়ে কতটা টিকে থাকতে পারবেন, সাধারণ ভোটারদের চাওয়া-পাওয়াকে কতটা গুরুত্ব দিতে পারবেন- সবকিছুই সময়ের ওপর নির্ভর করছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমি মাঠে থাকব ইনশাআল্লাহ। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই আমার কাছে চূড়ান্ত, তার নির্দেশ মেনেই দলের হয়ে কাজ করব।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রবিউল ইসলামের মতো তৃণমূল নেতারা মাঠে সক্রিয় থাকলে নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি আরও শক্ত অবস্থানে থাকবে।