আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সংগঠনটির অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরাইল গাজায় অবিরাম আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, এবং এ অবস্থায় হামাস আর নীরব থাকবে না। একইসঙ্গে চলমান সহিংসতার জন্য ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছে সশস্ত্র সংগঠনটি।
বুধবার এক সরকারি বিবৃতিতে হামাস জানায়, “গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলা প্রমাণ করে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে শারম আল-শেখে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ভেঙে দিতে চায়।” সংগঠনটি আরও জানায়, গাজা ও আশপাশে সাম্প্রতিক হামলাগুলো চুক্তির মারাত্মক লঙ্ঘন, যা পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন জানিয়েছে, হামাস নিশ্চিত করেছে যে তাদের প্রতিরোধ বাহিনী ইসরাইলকে নতুন কোনো সামরিক বাস্তবতা চাপিয়ে দিতে দেবে না। হামাস বলেছে, “গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধ ও চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ইসরাইল যদি আগ্রাসন চালিয়ে যায়, প্রতিরোধ বাহিনী জবাব দিতে প্রস্তুত।”
রাফা সীমান্তে সাম্প্রতিক গুলিবর্ষণের ঘটনার সঙ্গে হামাসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি। তারা জানিয়েছে, “ইসরাইল আগ্রাসনের অজুহাত তৈরির জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।” হামাস আরও বলেছে, গাজায় বেসামরিক এলাকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বোমা হামলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা নিয়ন্ত্রণহীন সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। বিবৃতিতে হামাস ওয়াশিংটনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতা ও প্রত্যক্ষ সহায়তা ইসরাইলকে গাজায় রক্তপাত চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র দখলদার বাহিনীর রক্তপাতের অংশীদার হয়ে উঠেছে।” হামাসের এই হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এসেছে, যখন ইসরাইল গাজায় সাম্প্রতিক অভিযানে অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। হামাসের দাবি, ইসরাইলের এই হামলা সরাসরি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের প্রমাণ।