জেডটিভি বাংলা ডেস্ক:
বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদ্য বদলি হওয়া আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পর ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও ভিডিপি সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
সূত্র জানায়, দায়িত্বে থাকাকালীন সময় মমতাজ বেগম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভিডিপি সদস্যদের ভাতা ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। ৪১ জন সদস্যের মাসিক বেতন থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ২০০ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়, যা নয় মাসে দাঁড়ায় ৭৩ হাজার ৮০০ টাকা।
এ ছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রায় ৩০ শতাংশ সদস্যের ভাতা বিভিন্ন অজুহাতে কেটে রাখা হয়। আরও অভিযোগ রয়েছে, কিছু প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভুয়া নাম ব্যবহার করে সরকারি অর্থ উত্তোলন করেছেন মমতাজ বেগম।
সম্প্রতি উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত আনসার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৬৪ জন সদস্যের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে মোট ৩ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গত ২৩ অক্টোবর ১০ দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নিতে প্রত্যেককে উপজেলা কর্মকর্তা মমতাজ বেগমকে ৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে।
বেতাগী পৌরসভার আনসার ভিডিপি সদস্য সুকদেব হাওলাদার জানান, উপজেলা কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে সদস্যদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করতেন। দুর্গাপূজার সময় জেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা প্রতি পূজামণ্ডপে ব্যানারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যানারই তৈরি হয়নি। বরাদ্দের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন মমতাজ বেগম।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা মমতাজ বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি বিষয়টির তদন্ত চাই।
বর্তমান উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি। আগের কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তবে যদি তিনি অনিয়ম করে থাকেন, তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনসার ভিডিপির জেলা দপ্তর ইতিমধ্যে বিষয়টি তদন্তের জন্য নজরদারিতে নিয়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ