আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নরওয়ে ২০১৬ সালে আর্কটিক অঞ্চলে তেল অনুসন্ধানের লাইসেন্স দেওয়ার ফলে তার জলবায়ু সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে কিনা তা নিয়ে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিএইচআর) মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত দেবে। খবর এএফপির।
মামলাটি দায়ের করেছিলেন ছয়জন নরওয়েজিয়ান কর্মী এবং পরিবেশ সংগঠন গ্রিনপিস ও ইয়ং ফ্রেন্ডস অফ দ্য আর্থের স্থানীয় শাখা। তারা অভিযোগ করেছেন, নরওয়ের কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স প্রদানের আগে তেল উত্তোলনের সম্ভাব্য পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করেনি, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
পশ্চিম ইউরোপের বড় তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে নরওয়ে বহুবার জলবায়ু কর্মীদের আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছে। জাতীয় আদালতে পরাজয়ের পর মামলাকারীরা ইসিএইচআরের দ্বারস্থ হন। তারা এই মামলাটি এমন ধারার ওপর ভিত্তি করে দায়ের করেছেন যা জীবনের অধিকার এবং ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের প্রতি সম্মান রক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত।
২০১৬ সালে নরওয়ের জ্বালানি মন্ত্রণালয় বেরেন্টস সাগরে ১৩টি কোম্পানিকে ১০টি অনুসন্ধান লাইসেন্স প্রদান করে। এর মধ্যে ছিল নরওয়ের স্ট্যাটোয়েল (বর্তমানে ইকুইনর), মার্কিন শেভরন ও কনোকোফিলিপস, এবং রাশিয়ার লুকঅয়েল। যদিও জাতীয় আদালত ২০২১ সালে বলেছিল যে এই লাইসেন্স জীবনকে ‘বাস্তব বা তাৎক্ষণিক বিপদ’ সৃষ্টি করে না, পরে সব লাইসেন্স ফেরত দেওয়া হয় কারণ ব্যবহারযোগ্য তেল পাওয়া যায়নি।
ইসিএইচআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মামলাটি জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর প্রভাব থেকে মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা রক্ষার বাধ্যবাধকতার সুষ্ঠু প্রয়োগের দিক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।”
গত বছর ইসিএইচআর জলবায়ু পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো নিন্দা জারি করেছিল।