নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখযানুল উলুমের দ্বিতীয় তলার শয়নকক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম নাজিম উদ্দিন, তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের জাহানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ইতোমধ্যে ২৬ পারা কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করেছিলেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ তার সহপাঠী আবু সাইদকে (১৬) ছুরিসহ আটক করেছে।
মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, ওই কক্ষে মোট ১৪ জন শিক্ষার্থী থাকত। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ চিৎকার শুনে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক আবু রায়হান ঘুম থেকে জেগে লাইট জ্বালান। তখন তিনি দেখেন, আবু সাইদ নাজিম উদ্দিনের গলা কেটে দিয়েছে। বিষয়টি মাদরাসার প্রধান মাওলানা মাসুম বিল্লাহকে জানানো হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
ঘটনা নিয়ে যোগাযোগ করা হলে মাওলানা মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি বর্তমানে মানসিক চাপে আছেন—এরপর ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, “এই মাদরাসাটি এলাকার একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। শুনেছি, ক্রিকেট খেলা নিয়ে সহপাঠীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। সেই বিরোধ থেকেই হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
সোনাইমুড়ী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, “আটক আবু সাইদকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”