নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এবার থেকে প্রাথমিক বাছাই (প্রি-সিলেকশন) পরীক্ষা থাকছে না—এক ধাপেই লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৬ নভেম্বর থেকে আবেদন শুরু, চলবে তিন সপ্তাহ:
অধ্যাপক জলিল বলেন, “আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। এটি তিন সপ্তাহ বা তার কিছু বেশি সময় চলবে। আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই পত্রিকা ও বুয়েটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।”
এক ধাপেই ভর্তি পরীক্ষা:
তিনি জানান, এবার ভর্তি পরীক্ষা হবে এক ধাপেই। অর্থাৎ, প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। “পরীক্ষার অন্যান্য নিয়ম ও কাঠামো আগের মতোই থাকবে,” বলেন অধ্যাপক জলিল।
ভর্তি যোগ্যতার মানদণ্ডে পরিবর্তন নেই :
এইচএসসি পরীক্ষার ফল তুলনামূলক নিম্নমুখী হওয়ায় ভর্তি যোগ্যতার মানদণ্ড শিথিল হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জলিল বলেন, “ফল খারাপ হয়নি, এবার প্রকৃত ফল হয়েছে। যারা সত্যিকারের মেধাবী, তারাই জিপিএ–৫ পেয়েছেন। তাই ভর্তি যোগ্যতায় কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।” বুয়েটের নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারীদের এইচএসসিতে পদার্থ, রসায়ন ও গণিতে পৃথকভাবে জিপিএ–৫ থাকতে হবে।
বুয়েট ভর্তি কাঠামোয় পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট :
গত কয়েক বছর ধরে বুয়েটে ভর্তি প্রক্রিয়া ছিল দুই ধাপে—প্রথমে প্রাথমিক বাছাই, পরে মূল লিখিত পরীক্ষা। এবার সেই প্রাথমিক ধাপটি বাতিল করে সরাসরি লিখিত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্লেষকদের মতে, এতে পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পরিচালনা সহজ হবে, তবে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে পারে উল্লেখযোগ্যভাবে।