আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নির্দেশ দিয়েছেন, ভূমধ্যসাগর থেকে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হবে। এই জাহাজে ৯০টি বিমান বহন করার ক্ষমতা রয়েছে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে ‘যুদ্ধ বাধাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এক নতুন অনন্ত যুদ্ধ শুরু করছে, যা তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আর কখনো করবে না।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে। মাদক পাচার প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে তারা যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। হেগসেথ জানিয়েছেন, শুক্রবারের এক হামলায় ছয়জন ‘নারকো-সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। হামলাটি চালানো হয়েছে ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামের অপরাধী সংগঠনের মালিকানাধীন জাহাজের বিরুদ্ধে। চ্যাথাম হাউসের ল্যাটিন আমেরিকা বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ড. ক্রিস্টোফার সাবাতিনি জানিয়েছেন, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি মূলত মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে ‘ভয় সৃষ্টি’ করার উদ্দেশ্যে, যাতে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা ধীরে হলেও বাস্তবায়িত হতে পারে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল বলেন, জাহাজ মোতায়েনের মাধ্যমে মাদক পাচার ব্যাহত করা, ট্রান্সন্যাশনাল ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন (টিসিওজ) দুর্বল করা এবং স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় ‘স্থল অভিযান’ চালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি। জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল তিনদিন আগে ক্রোয়েশিয়ার উপকূলে। সেপ্টেম্বরের পর থেকে এটি ট্রাম্প প্রশাসনের দশম সামরিক অভিযান। কংগ্রেসের কিছু ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সিনেটর হামলার বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেন্টাকি থেকে রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পল বলেছেন, এ ধরনের হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমতি প্রয়োজন। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তার এই ধরনের হামলার আইনি ক্ষমতা রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, কেউ যদি চায় না যে মাদকবাহী নৌকা ধ্বংস হোক, তবে আমেরিকায় মাদক পাঠানো বন্ধ করতে হবে।