নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেওয়া পারিবারিক বিতর্কের অবসান হলো আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে। ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার – দুজনেই নিশ্চিত করেছেন যে, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পৃথক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দুজনেই জানিয়েছেন, ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে বিষয়টির একটি ‘সুন্দর ও উত্তম’ সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
বিচ্ছেদ ঘোষণার পর দেওয়া স্ট্যাটাসে সাবিকুন নাহার তার আগের কিছু কার্যক্রমের জন্য প্রকাশ্যে অনুশোচনা প্রকাশ করেন এবং একটি সংযত বার্তার মাধ্যমে জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের প্রতি কিছু অনুরোধ জানান। তিনি লেখেন, “দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের উদ্দেশ্যে, পারিবারিক জটিলতা থেকে সহজ ও শরিয়াসম্মত সমাধানের আশায় আমাকে দীর্ঘ ও কঠিন এক পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। সাবিকুন বলেন, এই প্রক্রিয়ায় পাবলিক প্ল্যাটফর্মে তিনি ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় যে কোনো গুনাহ করে থাকলে তা থেকে তওবা করছেন এবং আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।
তিনি স্পষ্ট করে দেন, এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করবেন না এবং অন্যদেরও এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনায় না জড়ানোর আহ্বান জানান। বিশেষভাবে তিনি অনুরোধ করেন, আগের দেওয়া যেসব অডিও ও ভিডিও ক্লিপ এখনো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে রয়েছে, সেগুলো যেন মুছে ফেলা হয়। “আল্লাহর ওয়াস্তে, পরকালের স্বার্থেই অনুরোধ করছি—সব মিডিয়া ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আমার ব্যক্তিগত অডিও ও ভিডিও ক্লিপগুলো ডিলিট করুন,” — এমন আবেদন জানান সাবিকুন।
নিজের পোস্টের শেষাংশে তিনি লেখেন, এই কঠিন সময়ে যারা তাকে সমর্থন দিয়েছেন বা পাশে ছিলেন, তাদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং যারা সমালোচনা করেছেন, তাদের জন্যও দোয়া করেন। “যারা পাশে ছিলেন, ভালোবেসেছেন—আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দিন; আর যারা ঘৃণা প্রকাশ করেছেন, তিরস্কার করেছেন, আল্লাহ যেন তাদেরও ক্ষমা করেন।”
এই ঘটনাটি আরও একটি উদাহরণ, যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপক প্রচার কতটা প্রভাব ফেলতে পারে—তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে বিষয়টি যে পরিণতভাবে সমাধিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল অবস্থান নেওয়া হয়েছে, সেটি অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।