স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মায়ের মৃত্যুর চার দিন পর অবশেষে মারা গেলেন ছেলে মাসুদ রানা (৩৬)। শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এতে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচজনে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বড়াইগ্রামের বনপাড়া–কুষ্টিয়া মহাসড়কের গুনাইহাটি এলাকায় ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী “কল্পনা এক্সপ্রেস” নামে একটি বাস সেটিকে চাপা দেয়।
ঘটনাস্থলেই নিহত হন—বনপাড়া পৌর শহরের কালিকাপুর মহল্লার আনছার আলী (৬০), লালপুরের ধলা গ্রামের নয়ন ইসলাম (২৮), একই গ্রামের ভ্যানচালক মুনছের প্রামানিক (৬৫)। গুরুতর আহত হন আনছারের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৫৪) ও দুই ছেলে মাসুদ রানা (৩৬) ও রাসেল (২৬)। ওইদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাশিদা বেগম।
চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শনিবার দুপুরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বড় ছেলে মাসুদ রানা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটিতে পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। তারা গুনাইহাটি মোড়ে সড়ক পার হচ্ছিলেন, এমন সময় দ্রুতগতির বাসটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই মোরশেদ আলম জানান, “দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।”