অনলাইন ডেস্ক
মহাসাগরীয় শক্তি ও চীনা প্রভাব মোকাবিলায় মার্কিন পেন্টাগন নৌবাহিনীর জন্য নতুন প্রজন্মের ক্যারিয়ার-ভিত্তিক স্টেলথ যুদ্ধবিমান ‘এফ/এ-এক্সএক্স’ নির্মাণ ও নকশার দায়িত্ব কোন প্রতিরক্ষা সংস্থাকে দেওয়া হবে—এটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হতে পারে। পেন্টাগন ইতিমধ্যেই প্রোজেক্ট এগিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বাকী আছে “বোয়িং” ও “নর্থরপ গ্রুম্যান”। বিজয়ী কনট্রাক্টধারী প্রতিষ্ঠান হবে ‘এফ/এ-এক্সএক্স’ তৈরির মূল ঠিকাদার এবং এতে বিমানের উন্নত স্টেলথ, বেশি কার্যরেঞ্জ ও স্থায়িত্ব, অপ্রচালিত (নন-ম্যাণ্ড) প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বয়ের মতো সুবিধা যুক্ত করার পরিকল্পনা থাকছে।
প্রকল্পটি বহুবছর ধরেই নানা ধরনের বিলম্ব ও বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে—বসন্ত-গ্রীষ্মের কংগ্রেস-পেন্টাগন অর্থায়ন বিতর্ক, সরবরাহ শৃঙ্খল ও প্রকৌশল সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ ইত্যাদি সিদ্ধান্ত নেবার ধীরগতির কারণ হিসেবে কাজ করেছে। কংগ্রেস পরে বড়হারে অর্থায়ন নিশ্চিত করায় কাজ ত্বরান্বিত হওয়ার পথ খুলেছে; তবু চালান ও সময়সীমা নিয়ে জটিলতা রয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি, নৌবাহিনী আশা করছে প্রথম তৈরি মৌলিক পর্যায়ের বিমানগুলো ২০৩০-এর দশকের দিকে সার্ভিসে নামবে।
গণমাধ্যমে আগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, “লকহিড মার্টিন” এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে—তাদের প্রস্তাব নৌবাহিনীর নির্ধারিত মাপকাঠি পূরণ করে ওঠেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বিজয়ী নির্বাচিত হলে তা বায়ুসেনা-সমূহের ভবিষ্যৎ কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় বিমাননৈতিক ক্ষমতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
এফ/এ-এক্সএক্স প্রকল্পের মূল ইস্যুগুলোতে রয়েছে—সংখ্যা ও একক ইউনিট মূল্য অপরিব, প্রকল্পের মোট ব্যয় সম্ভাব্যভাবে বহু বিলিয়ন ডলার, এবং নির্মাণকারীদের সরবরাহ-ক্ষমতা ও বাজেট রূপায়ণে কংগ্রেস ও প্রতিরক্ষা দফতরের ভূমিকা নির্ণায়ক হবে। নৌবাহিনী বলছে তারা একই সময়ে এফ-৩৫সি কেনার পরিকল্পনা বজায় রাখছে যাতে বর্তমান অপারেশনাল সক্ষমতা রক্ষিত থাকে।