ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর দাগনভূঞায় দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে স্ত্রী’র হাতে স্বামী খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম আলমগীর হোসেন (৪৫)। তিনি স্থানীয় গফুর ভান্ডারি বাড়ির আবদুল গফুরের ছেলে ও পেশায় ট্রাকচালক। এ ঘটনায় আলমগীরের প্রথম স্ত্রী খালেদা ইয়াসমিন (৩৮)-কে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দাগনভূঞা পৌর এলাকার জগতপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে আলমগীর-ইয়াসমিনের বিয়ে হয়, তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। তবে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে আরেকটি বিয়ে করেন আলমগীর। এ নিয়েই দাম্পত্য জীবনে চলছিল টানাপোড়েন।
গত রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি ফেরেন আলমগীর। আজ দুপুরে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াসমিন স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান আলমগীর। পরে স্বজনেরা ঘরের শৌচাগারে তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
নিহতের ছেলের অভিযোগ
নিহতের ছেলে কামরুল ইসলাম (১৬) জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই তাঁদের ভরণপোষণ বন্ধ করে দেন তাঁর বাবা। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না, পরে সংবাদ পেয়ে ছুটে আসেন।
পুলিশের বক্তব্য
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, “নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড।”