আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ীভাবে নজরদারি সক্ষমতা জোরদার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার কুনসান বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে অত্যাধুনিক এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন। ঘাঁটিটি চীন থেকে মাত্র ২৫০ মাইল দূরে অবস্থিত।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সেখানে পুনরায় সক্রিয় করা হয় ‘৪৩১তম এক্সপিডিশনারি রিকনাইস্যান্স স্কোয়াড্রন’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিট দীর্ঘদিন বিলুপ্ত থাকার পর নতুন কৌশলগত প্রেক্ষাপটে আবারও কার্যক্রম শুরু করল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রিপার ড্রোন মোতায়েন শুধু উত্তর কোরিয়ার ওপরই নয়— তাইওয়ান, পূর্ব চীন সাগর ও চীনের সামরিক কার্যক্রমেও বাড়তি নজরদারি নিশ্চিত করবে। সম্প্রতি এ অঞ্চলে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ফের মোতায়েনের পর এটিকে ওয়াশিংটনের বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রিপার ড্রোনের কার্যক্ষমতা এক হাজার ৬০০ মাইলেরও বেশি। দীর্ঘ সময় আকাশে অবস্থান করে এটি গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি হেলফায়ার মিসাইল ও লেজার নিয়ন্ত্রিত বোমা বহন করে যুদ্ধ অভিযানে অংশ নিতে সক্ষম।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওসান বিমান ঘাঁটিতে ৩১টি এফ-১৬ বিমান এবং এক হাজার কর্মী স্থানান্তর করেছিল। এরপর কুনসানে নতুন এই স্কোয়াড্রন চালু হলো উপদ্বীপে ওয়াশিংটনের দ্বিতীয় বড় সামরিক উদ্যোগ হিসেবে।
মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে, এমকিউ-৯ রিপার মোতায়েন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।