আন্তকর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার আবারও আলোচনায়—ওরেগনের পোর্টল্যান্ড শহরে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, দেশি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে কেন্দ্রীয় অভিবাসন কেন্দ্রগুলোকে রক্ষায় প্রয়োজনে ‘পূর্ণ সামরিক শক্তি’ প্রয়োগের অনুমতি তিনি দিচ্ছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে গত শনিবার দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন— পোর্টল্যান্ডে অভিবাসন ও শুল্ক কার্যকর সংস্থা আইসিই-এর অফিসগুলো ‘অ্যান্টিফা ও অন্যান্য দেশি সন্ত্রাসীদের’ হামলার শিকার হচ্ছে। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পরিচিত পিট হেগসেথকে প্রয়োজনীয় সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান।
তবে এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। কারণ, পিট হেগসেথ কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। তিনি মূলত একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ফক্স নিউজের রাজনৈতিক ভাষ্যকার।
ট্রাম্প তাঁর পোস্টে বলেন— “আমি প্রয়োজনে পূর্ণ শক্তি ব্যবহারেরও অনুমোদন দিচ্ছি।”
নির্বাচনের আগে এমন ভাষা অনেকের কাছেই উদ্বেগজনক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরণের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করতে পারে।
এদিকে, ডেমোক্র্যাটরা বলছেন— ট্রাম্পের এমন অবস্থান মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তা দেশব্যাপী বিভাজন আরও বাড়াতে পারে।