আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে পশ্চিমাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, মস্কোর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব হবে কঠোর ও চূড়ান্ত।
শনিবার দেওয়া বক্তব্যে লাভরভ বলেন, “রাশিয়ার আকাশসীমায় কোনো উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার চেষ্টা করলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।” এসময় তিনি অভিযোগ করেন, জার্মানি যুদ্ধ উসকে দেওয়ার মতো ভাষায় কথা বলছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ন্যাটোর পূর্ব সীমান্তে উত্তেজনা তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি এস্তোনিয়া অভিযোগ করেছে, রাশিয়া তাদের আকাশসীমায় তিনটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। অন্যদিকে পোল্যান্ডের আকাশে ন্যাটোর যুদ্ধবিমান রুশ ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
লাভরভ বলেন, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসন মানে সরাসরি সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা লঙ্ঘন। যারা এ ধরনের চেষ্টা করবে, তারা এর মাশুল দেবে।” তিনি বিশেষভাবে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্সকে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার জন্য সমালোচনা করেন।
যদিও লাভরভ জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া কখনো ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশকে ড্রোন কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেনি, ভবিষ্যতেও তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে পশ্চিমা নেতাদের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার প্রসঙ্গ তিনি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটোর আকাশসীমা রক্ষায় রুশ বিমান ভূপাতিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে তিনি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে ‘কাগজের বাঘ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন।
কঠোর ভাষায় সতর্ক করলেও লাভরভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করতে মস্কো আগ্রহী। আগামী কয়েক মাসে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তৃতীয় দফার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর লক্ষ্য হবে দূতাবাস কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করা, যা গত এক দশকে নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধে ভুগছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে লাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।