আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রুশ-মার্কিন কূটনৈতিক টানাপোড়েন নতুন মাত্রা পেয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া এমন যুদ্ধ লড়ছে যা সাধারণত এক সপ্তাহেরও কম সময়ে জিততে পারত—তাই এটিকে তিনি “কাগজের বাঘ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার মাধ্যমে ইউক্রেন তার হারানো ভূখণ্ড ফিরে আনতে পারবে। তিনি রয়েছেন “ইউক্রেন এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার সঠিক সময়” এই ভাবনায় এবং যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবে বলে জানান। ট্রাম্প আরও যুক্ত করেন, যুদ্ধের ব্যয়ে রাশিয়ার অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় পড়েছে এবং ইউক্রেনের মনোবল দিনে-দিনে বেড়েছে।
এর একদিন পর মস্কো থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ট্রাম্পের মূল্যায়নের সঙ্গে তারা একমত নয়। তিনি রাশিয়াকে “কাগজের ভাল্লুক” বলে ছোটিয়ে দেখানোর প্রচেষ্টাকে খারিজ করে বলেন, বাস্তবে রাশিয়া একটি “সত্যিকারের ভাল্লুক” — শক্তিশালী ও ভয় দেখানো যায় এমন একটি রাষ্ট্র। পেসকভ যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ান তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বানের প্রস্তাবকেও নাকচ করে দেন এবং ওই মন্তব্যকে ব্যবসায়িক চিন্তার প্রতিফলন হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
উভয় পক্ষের এই কথাবার্তায় ইউক্রেনকে ঘিরে পশ্চিমা সমর্থন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক সহায়তা—এসব ইস্যু আবার নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। কূটনীতিকরা বলছেন, উচ্চস্বরের রাজনৈতিক বিবৃতি এবং মিডিয়া-স্তরে প্রকাশিত মন্তব্যগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি প্রভাব না ফেলেও কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায়, যা অচিরেই নরম হওয়ার সম্ভাবনা অল্পই।