স্পোর্টস ডেস্ক
ক্রিকেটে রাইভালরি বা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন কিছু নয়। ভারত–পাকিস্তান কিংবা অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ডের মতো ঐতিহাসিক দ্বন্দ্বই এর বড় উদাহরণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার মধ্যেও গড়ে উঠেছে এমনই এক তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
একসময় এই সম্পর্ক ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। ১৯৯০–এর দশকে শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়রা নিয়মিত খেলেছেন ঢাকা লিগে। সাঙ্গাকারা–জয়াবর্ধনের মতো তারকাদের কাছ থেকে শিখেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু সময়ের সাথে সেই সম্পর্কের জায়গা নিয়েছে উত্তেজনা।
২০১২ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফি এই দ্বন্দ্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। সাকিব আল হাসানের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ, মাহমুদউল্লাহর বীরত্ব, আর ম্যাচশেষে ‘নাগিন ডান্স’—সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের চোখে তা অপমান হিসেবেই ধরা পড়ে।
বিশ্বকাপ ২০২৩ আরও বাড়িয়ে দেয় এই বৈরিতা। ইতিহাসের প্রথম ‘টাইমড আউট’-এর শিকার হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, যা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার আর ভক্তদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। জবাবে একে অপরকে খোঁচা দিয়ে উদযাপন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তর্ক–বিতর্কে রূপ নেয় দ্বন্দ্ব।
বিশ্লেষকদের মতে, শ্রীলঙ্কার অতীত গৌরব আর বাংলাদেশের নতুন সাফল্যের সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এখন প্রতিটি বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শুধু ক্রিকেট নয়, মর্যাদা আর আবেগের লড়াইয়েও পরিণত হয়েছে।