আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলার একদিন পরই ইয়েমেনে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার রাজধানী সানা ও আল-জাওফ প্রদেশে চালানো এ হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত এবং ১৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় সানার আবাসিক ভবন, একটি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং আল-হাজমের সরকারি কমপাউন্ড মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধ্বংসস্তূপে বহু মানুষ আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুথি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি দাবি করেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় সানার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি মেডিকেল সেন্টার এবং আল-হাজমের সরকারি কার্যালয় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারে জানান, ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করতে তারা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছেন এবং একাধিক সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছেন। এতে কয়েকটি ইসরায়েলি বিমান আগেভাগেই পিছু হটতে বাধ্য হয়।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল হুথি গোষ্ঠীর সামরিক ঘাঁটি, যোগাযোগকেন্দ্র ও জ্বালানি সংরক্ষণাগার।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, রামন বিমানবন্দরে হুথিদের ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের খুঁজে বের করব এবং জবাব দেব।”