প্রিয়াংকা সাহা
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করেছে। বেলা ১০টা পার হলেও পুলিশ ও প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঢাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে হাজার হাজার পথচারী ও দূরপাল্লার যানবাহন ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল। পাশাপাশি ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও সুয়াদী পাম্প সংলগ্ন এলাকায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করছেন স্থানীয়রা।
অবরোধে আটকে পড়া ট্রাক চালক মালেক শেখ বলেন, “পদ্মা সেতু পার হতেই মুনসুরাবাদে আটকে দেওয়া হয়। খুলনা-মোংলা বন্দর যাওয়ার পথে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।” বরিশাল থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন কামাল মোল্লা, হাসান শরীফ ও হেমায়েত মাহমুদ, তারা জানান, প্রচণ্ড গরম এবং দীর্ঘ সময় পায়ে হেঁটে বা ভ্যানযোগে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে তারা ভাঙ্গাবাসীর দাবিকে সমর্থন করছেন।
বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন ৩ দিনের সময় নিয়েছিল, কিন্তু তাদের দাবি পূরণ হয়নি। তাই তারা অনিদ্দৃষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অবরোধ চালাবেন। এ সময় তারা স্লোগান দেন, যেমন: “রক্ত লাগে রক্ত নে, ভাঙ্গাবাসীর মুক্তি দে”, “লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে”, “আমার মাটি আমার মা নগরকান্দায় দেবো না”
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি হাইকোর্টে চলমান হওয়ায় জনতাকে অনুরোধ করা হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করতে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা) সার্কেল আসিফ ইকবাল জানান, হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ের চারটি পয়েন্টে অবরোধ চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি মনিটর করছে এবং প্রয়োজন হলে ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলা রোধে পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে, গত শুক্রবার একই দাবিতে ৯ ঘণ্টা ধরে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছিল। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে বিক্ষুব্ধরা, যা বুধবার সকাল পর্যন্ত চলেছে।