আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের পাঞ্জাবে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। ডুবে গেছে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, বিএসএফ, পাঞ্জাব পুলিশ ও প্রশাসন একযোগে কাজ করছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক দশকের মধ্যে এটাই পাঞ্জাবের সবচেয়ে বড় বন্যা। রাজ্যের ২৩ জেলার অন্তত ১ হাজার ৯৯৬টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার প্রভাবে বিপর্যস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার। এর মধ্যে হোশিয়ারপুর ও অমৃতসরে সর্বাধিক প্রাণহানি ঘটেছে—প্রতিটি জেলায় সাতজন করে।
অতিবর্ষণ এবং হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের উজানে নদীগুলোর প্রবল স্রোতের কারণে শতদ্রু, বিয়াস, রাভি ও মৌসুমি নদীগুলো ভরপুর হয়ে বন্যার সৃষ্টি করেছে।
পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হারপাল সিং চীমা একে ‘৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, কৃষি জমি, গবাদিপশু, ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৮৫৪ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যজুড়ে খোলা ২০০টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন সাত হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে, বন্যার জন্য অবৈধ খননকে দায়ী করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে তীব্র সমালোচনা করেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। তাদের অভিযোগ, বিজেপি নেতারা দুর্গত এলাকায় ছবি তুললেও কোনো কার্যকর আর্থিক সাহায্যের উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
পাঞ্জাব সরকার জানিয়েছে, বন্যা মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে ২৪টি এনডিআরএফ দল, দুটি এসডিআরএফ দল এবং ১৪৪টি নৌকা কাজ করছে।