September 10, 2025, 10:47 pm
Headline :
আন্দোলন হাইজ্যাক হয়েছে, দাবি নেপালের তরুণদের নেপালে আটক বাংলাদেশিরা নিরাপদ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরবেন কুড়িগ্রামে বিজিবির অভিযান: ৭ দিনে ২ কোটি টাকার মাদক ও পণ্য জব্দ ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরণের বাণিজ্য ও আকাশসীমা বন্ধ করেছে তুরস্ক গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার রাজশাহীতে কলাবাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধারনিজস্ব প্রতিবেদক ১৬ গেট দিয়ে সাড়ে ৩ ফুট করে ছাড়া হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যোগাযোগ বন্ধ ডাকসু নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী ‘জুলাই কন্যা’ তন্বী ডাকসুর জয়কে ‌‘জুলাই প্রজন্মের বিজয়’ বললেন নবনির্বাচিত ভিপি

জিনপিংয়ের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা, ট্রাম্পের অসন্তোষ

জিনপিংয়ের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা, ট্রাম্পের অসন্তোষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনের আয়োজিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান উপেক্ষা করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে “অনেক সহায়তা” করেছিল, তাই শি জিনপিংয়ের ভাষণে তা উল্লেখ করা উচিত ছিল। বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি অনুষ্ঠানটি দেখেছি। এটি দারুণ ও চিত্তাকর্ষক ছিল। প্রেসিডেন্ট শি আমার বন্ধু, তবে আমি মনে করি তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করা উচিত ছিল।”

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, বেইজিংয়ে সমবেত বিদেশি নেতারা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তবে চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকীকে একটি বড় কূটনৈতিক প্রদর্শনীতে রূপ দিয়েছেন। তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের সামনে তিনি ভাষণ দেন। পাশে ছিলেন রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন। অনুষ্ঠানে চীনের সেনাদের পদযাত্রা ও আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শিত হয়, যা মূলত সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে।

১৯৩৭ সালে জাপানের চীন আক্রমণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বড় বাঁকবদল হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে যোগ দিয়ে চীনা সেনাদের সহায়তা প্রদান করে এবং জাপানের পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শি জিনপিং তার ভাষণে বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক বন্ধুদের ধন্যবাদ জানান, যারা চীনা জনগণকে সহায়তা করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ হয়নি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক নানা ইস্যুতে টানাপোড়েনে রয়েছে—যুদ্ধ, বাণিজ্য, দক্ষিণ চীন সাগরসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। তবে ট্রাম্প বারবার দাবি করেন, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ইতিবাচক, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে পারে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে শি জিনপিংকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, “আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিও ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উনকে, যখন তোমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছো।” রাশিয়া অবশ্য জানিয়েছে, তারা কোনো ষড়যন্ত্র করছে না এবং ট্রাম্পের মন্তব্যকে তারা বিদ্রূপ হিসেবেই দেখছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page