নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার রামনগর গ্রামে ঘরের ভেতর শ্বাসরোধে মা ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহিন আলম ও তার স্ত্রী লাকি আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে এ হত্যাকাণ্ডের পর সন্ধ্যায় মরদেহ দুটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতরা হলেন—লুৎফা বেগম (৭০) ও তার মেয়ে আয়েশা আক্তার শিল্পী (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহতরা অভিযুক্ত শাহিনের সঙ্গেই একই ঘরে থাকতেন। পারিবারিক কলহের জেরে মা-ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, শাহিন একাধিকবার মা ও বোনকে প্রকাশ্যে মারধর করলেও তার স্ত্রী লাকীর ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পেত না।
নিহতের বড় মেয়ে শিউলী আক্তার বলেন, “আমার বাবা নেই। মা-বোন ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে ভাই ও তার স্ত্রী নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সম্পত্তির লোভেই তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে দুজনকে হত্যা করেছে।” তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ইপিজেড ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাহিন ও তার স্ত্রীকে আটক করে। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে নিহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।