লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটে দিন দিন বাড়ছে অসহায় মানুষের সংখ্যা। শহরের অলিগলি, মিশন মোড় কিংবা স্টেশন চত্বরে চোখ রাখলেই দেখা মেলে ভিক্ষুক, গৃহহীন, প্রতিবন্ধী, অসুস্থ কিংবা অনাহারীদের ভিড়। কেউ সন্তানদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়ে ঘরছাড়া, কেউ আবার বাস্তুভিটা হারিয়ে ফুটপাতে ঠাঁই নিয়েছেন।
দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হলো, এ জেলায় প্রভাবশালী নেতা, বিত্তবান বা জনপ্রতিনিধির অভাব নেই; কিন্তু প্রকৃত মানবিক নেতৃত্ব আজও অধরা। ক্ষমতাধররা নিজেদের বিলাসবহুল জীবনযাপনে ব্যস্ত থাকলেও অসহায় মানুষের আর্তনাদ শোনার মতো কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
এ জেলার প্রবীণ নাগরিকরা অভিযোগ করে বলেন,
“আমাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো একজন অভিভাবক নেই। একটি আশ্রয়কেন্দ্র থাকলে জীবনের শেষদিনগুলো অন্তত শান্তিতে কাটাতে পারতাম।”
স্থানীয়দের মতে, প্রশাসন কিংবা সমাজের বিত্তবানরা চাইলে একটি “মানবিক আশ্রম” গড়ে তোলা সম্ভব, যেখানে গৃহহীন, ভিক্ষুক, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধীরা আশ্রয় পাবে। কিন্তু এতদিনেও এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি।
মানবাধিকারকর্মীরা মন্তব্য করেন, সমাজে অনেক “নকল অভিভাবক” তৈরি হলেও প্রকৃত মানবিক নেতার অভাবই আজ অসহায় মানুষের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য।
প্রশ্ন রয়ে যায়—যখন কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয় অবকাঠামো উন্নয়নে, তখন কবে আসবে সেই প্রকৃত মানবিক নেতৃত্ব, যিনি অভিভাবক হয়ে দাঁড়াবেন লালমনিরহাটের অসহায় মানুষের পাশে?