September 10, 2025, 10:46 pm
Headline :
আন্দোলন হাইজ্যাক হয়েছে, দাবি নেপালের তরুণদের নেপালে আটক বাংলাদেশিরা নিরাপদ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরবেন কুড়িগ্রামে বিজিবির অভিযান: ৭ দিনে ২ কোটি টাকার মাদক ও পণ্য জব্দ ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরণের বাণিজ্য ও আকাশসীমা বন্ধ করেছে তুরস্ক গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার রাজশাহীতে কলাবাগান থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধারনিজস্ব প্রতিবেদক ১৬ গেট দিয়ে সাড়ে ৩ ফুট করে ছাড়া হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যোগাযোগ বন্ধ ডাকসু নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয়ী ‘জুলাই কন্যা’ তন্বী ডাকসুর জয়কে ‌‘জুলাই প্রজন্মের বিজয়’ বললেন নবনির্বাচিত ভিপি

এখনও কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ, ডিমের ডজন ছুঁয়েছে ১৫০ টাকা

এখনও কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ, ডিমের ডজন ছুঁয়েছে ১৫০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাইকারি বাজারে কিছুটা দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনও আগুন পেঁয়াজ। প্রতিদিন বাজার করতে গিয়ে নিত্যপণ্যের এই অস্থিরতা ভোক্তাদের চরম বিপাকে ফেলেছে। একদিকে সবজির অস্বাভাবিক দাম, অন্যদিকে পেঁয়াজ আর ডিমের বাজারের অস্থিরতা—সব মিলিয়ে জনজীবনে চাপ বাড়ছে দিন দিন।

পেঁয়াজের বাজারে আগুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, গাবতলী ও অন্যান্য খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। যদিও পাইকারি পর্যায়ে দাম কিছুটা কমেছে, তবে সেই সুবিধা খুচরা বাজারে পৌঁছাচ্ছে না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় কিনলেও পরিবহন খরচ, ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ যোগ হয়ে খুচরায় দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতা জাহেদ হোসেন বলেন, “আমরা উচ্চ দামে কিনছি, আবার পরিবহন খরচ যোগ হচ্ছে। তাই ৭৫ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।”

অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারের বাজার মনিটরিং যথেষ্ট কার্যকর নয় বলেও তাদের দাবি।

ডিমের ডজন ১৫০ টাকা

শুধু পেঁয়াজই নয়, গরিবের সহজলভ্য খাদ্য ডিমও এখন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। হালিতে দাম ৫০ টাকা পর্যন্ত গড়িয়েছে।

গৃহিণী সুমি আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আগে ৩৫ টাকায় হালি ডিম কিনতাম, এখন ৫০ টাকা লাগে। চাল, ডাল, তেল সবকিছুর দাম বাড়ছে—মানুষ কীভাবে সংসার চালাবে?”

বিশেষজ্ঞদের মতামত

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় গড়মিল ও মৌসুমি অজুহাত দেখিয়ে অনেক ব্যবসায়ী অতি মুনাফা করছেন। তাদের মতে, সরকারের শক্ত নজরদারি ছাড়া বাজার স্থিতিশীল হবে না।

সরকারি তদারকি

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে তারা স্বীকার করেছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে বা অসাধু সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকলে শুধুমাত্র অভিযান দিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page