নিজস্ব প্রতিবেদক,
১৪ আগস্ট ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা মুক্তি ও প্রথম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ আয়োজিত প্রীতি সম্মেলন ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান না হলে আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না এবং হয়ত হিন্দুস্তানের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হতো।অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, অ্যাক্টিভিস্ট, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখক, সাংবাদিক ও শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী হাসিবের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক বলেন, “বাঙালি মুসলমানরা দীর্ঘদিন নির্যাতিত ছিল। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুসলিমরা জমিদারদের শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল। পাকিস্তান সেনারা পূর্ব বাংলার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাঙালিদের সৈনিক হওয়ার পথ সুগম করেছে। আমাদের গর্বের ইতিহাস হলো পাকিস্তানের মাধ্যমে পাওয়া এই স্বাধীনতা।”জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, “সাতচল্লিশ, একাত্তর ও চব্বিশকে আলাদা করে ভাবা ভুল। আমাদের ইতিহাসের তিনটি অধ্যায়কে একসাথে গ্রহণ করতে হবে। সাতচল্লিশ না হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গড়ে উঠত না।”জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ এই তিনটি বছরের ঘটনা একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। সাতচল্লিশের পাকিস্তান আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি। মুসলিম জাতীয়তাবাদী চেতনার সঙ্গে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদকে যুক্ত না করলে দেশ এগিয়ে যাবে না।”সকালে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত পাকিস্তান আন্দোলনের তিন জাতীয় নেতা – শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, খাজা নাজিমউদ্দিন ও হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর মাজার জিয়ারত করেন। সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে পাকিস্তান আন্দোলনের নেতাকর্মীদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।