অনলাইন ডেস্ক
সুনামগঞ্জের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাঠে নেমেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলামের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস’র খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আকতারুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের অসাধুদের যোগসাজশে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকার পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে ওই পর্যটন এলাকায় দুদকের সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযান পরিচালনা শেষে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানিয়েছে দুদক।
প্রাকৃতিকভাবে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ধলাই নদের উৎসমুখে ভেসে আসা পাথরের বিশাল স্তুপের কারণে প্রায় পাঁচ একর জায়গা জুড়ে সিলেটের ভোলাগঞ্জ পর্যটন স্পট হিসেবে গত কয়েক বছরে বেশ সাড়া ফেলেছিল। গত এক বছরে সে জায়গাটি থেকে অবাধে পাথর লুটের ঘটনায় মনোরম সৌন্দর্য্যের এই স্পটটি বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।
এর আগে, আরটিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাদা পাথর নামক ওই স্থান থেকে পাথর লুট হওয়ার সংবাদ প্রকাশ হলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধংস করার প্রতিবাদ জানানো হয় দেশের বিভিন্ন মহল থেকে।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর। যার ৭৫ শতাংশই গায়েব। আছে মাত্র ২৫ শতাংশ। একসময় প্রচুর পরিমাণে সাদা পাথর দেখা যেত বলে জায়গাটার নামই হয়ে যায় ‘সাদা পাথর’। কিন্তু বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রটি অস্তিত্ব সংকটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও প্রভাবশালীদের আশীর্বাদেই এসব লুট চলছে। তবে দুদকের এই পদক্ষেপে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং অবৈধ পাথর লুট বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।