October 30, 2025, 2:22 pm
Headline :

১৪ মাসেও সরকার নিজের ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি: রাশেদ খান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, সরকার ক্ষমতায় আসার ১৪ মাস পেরিয়ে গেলেও নিজের ‘ফিটনেস’ তৈরি করতে পারেনি। হাতে এখন মাত্র চার মাস বাকি, এই সময়ে দুটি নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতাও সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব মন্তব্য করেন রাশেদ খান।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে একই দিনে ভোট—হ্যাঁ। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট—না।” রাশেদ খান বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে যখন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়, তখন বিশেষজ্ঞরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে মত দেন। সে সময় জামায়াত ছাড়া প্রায় সব দলই তাতে একমত হয়। এমনকি ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি (এনসিপি)-ও প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু পরদিনই এনসিপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। রাশেদ খান দাবি করেন, “এনসিপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া আছে, যা এনসিপি গোপন রাখতে চায়। এই সম্পর্ক আড়াল করতেই এনসিপি মাঝেমধ্যে জামায়াতবিরোধী অবস্থান নেয়—এটি রাজনৈতিক কৌশলমাত্র।”

তার ভাষায়, জামায়াত যা প্রকাশ্যে করতে পারে না, তা এনসিপির মাধ্যমে করায়। সংগঠনের ভেতরে জামায়াত-শিবিরঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নিয়োগ রয়েছে, যারা সেখানে প্রভাব বিস্তার করছে। রাশেদ খান আরও বলেন, “কিছুদিন আগে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছিলেন—‘নতুন করে আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দলের দরকার নেই।’ তখনই বোঝা গিয়েছিল, এনসিপি বুঝে না বুঝেই সেই পথে হাঁটছে। এতে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি হচ্ছে না।”

সরকারের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “নভেম্বরের গণভোটের প্রসঙ্গ এনে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। এতে কেবল আওয়ামী লীগই উপকৃত হবে।” তার অভিযোগ, ঐকমত্য কমিশন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে।


তিনি প্রশ্ন তোলেন, “তাহলে ৯ মাস রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে লাভ কী হলো? আগে থেকেই ৮৪টি বিষয়ে গণভোট নেওয়া যেত।” রাশেদ খান সতর্ক করে বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জামায়াত ও এনসিপি বাদে অন্য সব দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে—আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করে তোলা হচ্ছে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page