October 28, 2025, 5:17 pm
Headline :
তারেক রহমানের বক্তব্যে অশ্রুসিক্ত মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নওগাঁয় ট্রাক্টরচাপায় স্কুলছাত্র নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফসের সৌজন্য সাক্ষাৎ অস্ট্রেলিয়ার রুপার খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ২ শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিততে চান সাকিব ঐকমত্য নয়, বিভক্তির পথে দেশকে ঠেলছে কমিশন: সালাহউদ্দিন আহমদ জেলেনস্কি: যুদ্ধ চালাতে ইউরোপের ২-৩ বছরের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন ৪৮ ঘণ্টার জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে কিছু এলাকায় ১,৬৩৮টি ক্রেডিট কার্ডের মালিক হয়ে গিনেস রেকর্ড করেছেন হায়দ্রাবাদের মনীশ ধামেজা জেলার দাবিতে ভৈরবে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ: ৩ কিশোর গ্রেপ্তার, ১৫০ অজ্ঞাত আসামি মামলা

নিজেই অপহরণের নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করলেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী অবশেষে স্বীকার করেছেন যে, তাঁর ‘অপহরণ’ আসলে ছিল নিজের তৈরি একটি নাটক। সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেন।

ফেসবুক লাইভে স্বীকারোক্তি

সেদিন রাত ১২টার দিকে ইসলামি বক্তা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভ চলাকালে তিনি ফোনে মুহিব্বুল্লাহর মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। মেয়েটি জানান, তাঁর বড় ভাইয়ের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন— তাঁদের বাবা স্বীকার করেছেন যে সবকিছুই তিনি নিজের ইচ্ছায় করেছেন।

রাত আড়াইটার দিকে বিক্রমপুরী আবার লাইভে আসেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ হয়। পুলিশ তাঁকে জানায়, চাইলে তিনি মসজিদের ভেতরে যেতে পারেন, তবে সঙ্গে সর্বোচ্চ একজন মুরিদ নিতে পারবেন। বিক্রমপুরী তাতে রাজি হননি। ঠিক সেই সময় তাঁর মোবাইলে ফোন আসে মুফতি মুহিব্বুল্লাহর ছোট ছেলের কাছ থেকে, যিনি নিজেও একজন আলেম। ফোনে মুহিব্বুল্লাহ নিজেই বলেন, “আমি নিজেই সব করেছি। নিজের পরিকল্পনায় পঞ্চগড়ে গিয়েছি, গুম হওয়ার অভিনয় করেছি, ঘটনাটি ভাইরাল করেছি। তাই তোমরা আর বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।”

পূর্বের দাবি ও ঘটনাপ্রবাহ

এর আগে মুফতি মুহিব্বুল্লাহ, যিনি সামাজিক মাধ্যমে ‘মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী’ নামেই বেশি পরিচিত, দাবি করেছিলেন যে তাঁকে গত ২২ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর শিলমুন এলাকার একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়।

তিনি বলেছিলেন, একদল ব্যক্তি তাঁকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যায় এবং পরদিন পঞ্চগড়ে তাঁকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এমনকি তিনি দাবি করেছিলেন, অপহরণের আগে টানা কয়েকদিন ধরে হুমকিমূলক উড়ো চিঠি পেয়েছিলেন এবং অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

ঘটনা ঘিরে তোলপাড়

ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেক অনুসারী ও ইসলামি বক্তা তাঁর নিরাপত্তা দাবি করে পোস্ট দেন। কিন্তু তাঁর স্বীকারোক্তির পর পুরো বিষয়টি নতুন মোড় নেয়।

বর্তমানে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে—মুফতি মুহিব্বুল্লাহর এই ‘অপহরণ নাটক’ কেন ও কী উদ্দেশ্যে সাজানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page