জেডটিভি বাংলা ডেস্ক :
আসন্ন এশিয়ান আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপ (৮-১৪ নভেম্বর) ও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবল ম্যাচ (১৩ ও ১৮ নভেম্বর)—দুই আয়োজনের সময়সূচি ও ভেন্যু এক হওয়ায় নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। দুই খেলাই নির্ধারিত জাতীয় স্টেডিয়ামে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় স্টেডিয়ামে উপদেষ্টা ও বিদেশি কূটনীতিকদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন,
“আরচ্যারি চ্যাম্পিয়নশিপ কমলাপুর বা আর্মি স্টেডিয়ামে করব। জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ থাকায় আরচ্যারিকে সরে যেতে হচ্ছে। ফুটবলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।” আরচ্যারি ফেডারেশনের অজানা সিদ্ধান্তে ক্ষোভ উপদেষ্টার ঘোষণার বিষয়ে বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ বলেন, “আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই বিষয়টি জেনেছি। এখনো ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বা ক্রীড়া পরিষদ থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি।” তানভীর আহমেদ জানান, কমলাপুর স্টেডিয়াম এশিয়ান আরচ্যারি আয়োজনের উপযোগী নয়। আর্মি স্টেডিয়াম বিকল্প হতে পারে, কিন্তু এত অল্প সময়ে ভেন্যু পরিবর্তন অত্যন্ত কঠিন।
‘আগে থেকেই বরাদ্দ দেওয়া ছিল’ আরচ্যারি ফেডারেশন জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের ৮-১৪ নভেম্বরের ভেন্যু অনুমোদন দেয়। এ বিষয়ে ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনও অবগত ছিল।
তানভীর আহমেদ বলেন, “আমাদের টুর্নামেন্ট ১৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা। ফুটবলের ম্যাচ ছিল ১৮ নভেম্বর। কিন্তু তারা নতুন করে ১৩ নভেম্বর ম্যাচ রাখায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে।” আরচ্যারির অনুরোধ: ১২ নভেম্বর পর্যন্ত স্টেডিয়াম ব্যবহারের অনুমতি দিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে, আরচ্যারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান আরচ্যারি ফেডারেশনের সহসভাপতি কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, “আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সিদ্ধান্ত মানব। তবে অনুরোধ, অন্তত ১২ নভেম্বর পর্যন্ত যেন জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে পারি। ১৩-১৪ নভেম্বর অন্যত্র খেললে সমস্যা হবে না। একেবারে ভেন্যু বদল হলে তা বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি করবে।”
বাংলাদেশের জন্য ইমেজ সংকটের আশঙ্কা :
চীনকে হারিয়ে আয়োজক হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এখন শেষ মুহূর্তে ভেন্যু পরিবর্তন হলে এশিয়ান আরচ্যারি ফেডারেশনের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে দেশটি। চপল আরও বলেন, “২০১৭ সালে জাতীয় স্টেডিয়ামে সফলভাবে আয়োজন হয়েছিল। এবারও সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা চাই ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে খেলতে পারি, এরপর মাঠ ফুটবলের জন্য ছাড়ব।” জাতীয় স্টেডিয়াম ছাড়াও হকি স্টেডিয়ামেও ৮–১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ–পাকিস্তান হকি সিরিজ থাকায় আরচ্যারি ফেডারেশন এখন দুই দিকেই ভেন্যু সংকটে পড়েছে।