নিজস্ব প্রতিবেদক :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলতি অক্টোবরের মধ্যেই দেশের ২৫০টি আসনে একক প্রার্থীকে ‘সবুজ সংকেত’ দিতে যাচ্ছে বিএনপি। দলীয় কোন্দল কমানো এবং নির্বাচনি প্রস্তুতি জোরদারের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
মনোনয়ন চূড়ান্তের প্রক্রিয়া :
অক্টোবরের মধ্যেই সব আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে তফসিলের পরে।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে দেওয়া হচ্ছে নির্দেশনা।
দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও মিত্র দলগুলোর শীর্ষ কয়েকটি আসনে কাউকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে না।
ঐক্য ও জনপ্রিয়তার ওপর জোর :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, এবার দলের প্রার্থিতা নির্ধারণে জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা, ও তরুণ নেতৃত্বে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নারী প্রার্থীরাও পাচ্ছেন বাড়তি গুরুত্ব। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “যিনি এলাকাভিত্তিক সর্বাধিক জনপ্রিয়, তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। এজন্য তৃণমূল পর্যায়ের মতামত নেওয়া হচ্ছে।”
বগুড়া ও অন্যান্য জেলার সবুজ সংকেত :
সূত্র অনুযায়ী, বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে ইতোমধ্যে একক প্রার্থীকে মাঠে নামার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা হলেন:
বগুড়া-১: কাজী রফিকুল ইসলাম
বগুড়া-২: মীর শাহে আলম
বগুড়া-৩: আবদুল মুহিত তালুকদার
বগুড়া-৪: মোশাররফ হোসেন
বগুড়া-৫: গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ
বগুড়া-৬ ও ৭ আসন দুটি জিয়া পরিবারের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ, সাতক্ষীরা, নাটোর এবং ঢাকার কিছু আসনেও একইভাবে একক প্রার্থীকে চূড়ান্ত করে মাঠে কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার :
দলের দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, এবার ‘জেনারেশন জেড’ ও তরুণদের ভোট বেশি হওয়ায় বেশিরভাগ আসনে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে মাহমুদুর রহমান সুমনের মতো জনপ্রিয় তরুণ নেতার কথা বলা হয়েছে।
সমন্বয় ও ঐক্যের বার্তা :
দলীয় নেতারা একক প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। মতবিনিময় সভায় বলা হয়েছে, কেউ যেন মনোনয়ন না পেলে দল ছাড়ার চিন্তা না করে, বরং নির্ধারিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।