নিজস্ব প্রতিবেদক :
সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রত্যাশা জানিয়ে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান বলেছেন, “দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের দিয়ে যেন আর কখনো ভাড়াটে খুনির কাজ করানো না হয়।” বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। গুম-খুন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পর তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
“সেনাবাহিনী যেন জনগণের মুখোমুখি না হয়” :
ব্যারিস্টার আরমান বলেন, “একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আমার প্রত্যাশা, সেনাবাহিনী যেন আর কোনোদিন জনগণের মুখোমুখি না হয়। আমাদের সার্বভৌমত্বের রক্ষক এই বাহিনীকে যেন কোনো রাজনৈতিক বা অশুভ শক্তির হাতিয়ার না বানানো হয়। এই বিচারের মাধ্যমেই সেটি নিশ্চিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশনের দাবি :
তিনি অভিযোগ করেন, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বিদেশে পলাতক হলেও তাদের বিরুদ্ধে তখন পাসপোর্ট বাতিল ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। তবুও তারা কীভাবে দেশত্যাগ করলেন, সে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন: “ক্যান্টনমেন্টের ভেতর থেকে তারা কীভাবে দেশ ছাড়লেন—তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন জরুরি। যারা সে সময় দায়িত্বে ছিলেন, তাদের হাতেই কি আমাদের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ?”
তিনি আরও বলেন, “যারা দায়িত্বরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটতে দিয়েছেন, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার। যাতে করে বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে।” ট্রাইব্যুনালের আদেশ: ১৫ সেনা কর্মকর্তা কারাগারে, পলাতকদের খোঁজে বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ বুধবার সকালে গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় শুনানি হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন। পরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্যানেল অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশও দেওয়া হয়।
পরবর্তী শুনানির তারিখ:
গুমের দুই মামলার শুনানি: ২০ নভেম্বর , জুলাই আন্দোলন ও রামপুরার ২৮ হত্যা মামলা: ৫ নভেম্বর