নিজস্ব প্রতিবেদক,
দীর্ঘ বছর গুমের শিকার ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, সেনানিবাসের ভেতরের সাবজেলে (উপ-কারাগার) জেল কোড পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে।
তিনি বলেন, সাবজেলে থাকা আসামিরা কোনোভাবে সার্ভিং সেনা সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। “যদি তা হয়, আমরা যারা ভুক্তভোগী ও সাক্ষী আছি, আমাদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে,” যোগ করেন ব্যারিস্টার আরমান।
আজ (বুধবার) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে তিনি আরও বলেন, “জনসম্মুখে প্রমাণ দেখানো প্রয়োজন, যাতে দেখা যায়, ক্যান্টনমেন্টের ভেতর কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং কেউ বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারবে না।”
সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আরমান আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোনো ভাড়াটে হত্যার ঘটনা ঘটবে না। তিনি বলেন, “সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী সেনাবাহিনী যেন আর কোনো শক্তির পুতুল না হয়, এটি নিশ্চিত হবে এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।”
এছাড়া, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের দেশত্যাগ বিষয়ক উচ্চপদস্থ কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “যারা দায়িত্বে ছিলেন বা যাদের তত্ত্বাবধানে দেশত্যাগ হয়েছে, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি। যাতে কেউ বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে না পারে।”
এদিন সকালে গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলার শুনানি হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে ট্রাইব্যুনাল-১-এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে: গুমের দুই মামলায় ২০ নভেম্বর, আর রামপুরায় ২৮ হত্যা মামলায় ৫ নভেম্বর।