নিজস্ব প্রতিবেদক :
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
কারা কারাগারে গেলেন :
কারাগারে পাঠানো ১৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৪ জনই বর্তমানে কর্মরত, একজন রয়েছেন অবসরকালীন ছুটিতে। তাদের বিরুদ্ধে গুম, খুনসহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
কারাগারে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন:
সকালেই ট্রাইব্যুনালে হাজির :
আদালতের নির্দেশের আগে, বুধবার সকাল ৭টার পর ওই ১৫ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। নিরাপত্তার জন্য ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
পলাতকদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ :
এই তিন মামলার অন্যতম আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। উদ্দেশ্য—তাদের আদালতে হাজির করা।
পরবর্তী শুনানির তারিখ :
গুমসংক্রান্ত দুটি মামলার পরবর্তী শুনানি: ২০ নভেম্বর
২০২৪ সালের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরায় সংঘটিত গণহত্যা মামলার শুনানি: ৫ নভেম্বর
চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্য :
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার সেনা কর্মকর্তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে, তা নির্ধারণ করবে কারা কর্তৃপক্ষ। তিনি মামলার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
পূর্বপ্রসঙ্গ :
এর আগে ১১ অক্টোবর সেনা সদর থেকে জানানো হয়েছিল—মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চার্জশিটভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আজকের আদেশে সেই প্রক্রিয়া এক ধাপ এগিয়ে গেল।