ধর্ম ডেস্ক:
মদিনা মুনাওয়ারার অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান আল-গামামা মসজিদ। ইতিহাসবিদদের মতে, এখানেই মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) ঈদ ও বৃষ্টির (ইসতিসকা) নামাজ আদায় করেছিলেন।
সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, মসজিদটি নববী যুগের জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করছে। নবী করিম (সা.) যখন এখানে নামাজ আদায় করতেন, তখন এক মেঘ তার ওপর ছায়া ফেলে দিয়েছিল। তাই মসজিদটির নাম রাখা হয় ‘গামামা’, যার অর্থ ‘মেঘ’।
মসজিদের স্থাপত্যে প্রাচ্য ঐতিহ্যের ছাপ স্পষ্ট। বাইরের দেয়াল কালো পাথরের, প্রবেশদ্বারে সূক্ষ্ম নকশা করা কাঠের দরজা, এবং উত্তর-পশ্চিম কোণে উজ্জ্বল সাদা মিনার আছে। ভেতরে দক্ষিণ দিকে সুন্দর মিহরাব ও মার্বেলের তৈরি মিম্বর দেখা যায়।
রাসুল (সা.)-এর সময়ে এই স্থানে কোনো মসজিদ ছিল না। পরে ৯১ হিজরিতে খলিফা ওয়ালিদ বিন মালেক মসজিদটি নির্মাণ করেন। বহুবার সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের পর সম্প্রতি মদিনা মিউনিসিপ্যালিটি ঐতিহাসিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রেখে মসজিদটি নতুন করে গড়ে তুলেছে।
প্রাচীনকালে এই স্থানটি ‘আল-মুনাখা’ নামে পরিচিত ছিল। হাজি ও বণিকরা এখানে বিরতি দিত এবং উট বেঁধে রাখত। আজও আল-গামামা মসজিদ মুসলমানদের কাছে ইতিহাস ও শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে সমাদৃত।