October 27, 2025, 3:00 pm
Headline :
তথ্য অধিদপ্তরের ৪৫টি শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল চার মাসে মোংলায় নোঙর করেছে ২৫৫ বিদেশি জাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ইসরায়েলি ড্রোন ও ট্যাঙ্ক হামলা শুধুমাত্র কিছু আসনের জন্য এনসিপি জোট করবে না: সারজিস আলম প্রাথমিকের পাঁচ ক্যাটাগরিতে ১৬৪ পদে নিয়োগের ফল প্রকাশ বিএনপি তিন বছর আগে থেকেই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে: মঈন খান নির্বাচনের প্রস্তুতি ৯০-৯৫ শতাংশে: ইসি সচিব যুক্তরাষ্ট্রে ‘বেজবাবা’ সুমনের সঙ্গে মঞ্চ মাতালেন আসিফ আকবর পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি বিভাগ বন্ধ, কম শিক্ষার্থী ভর্তির কারণে জাপানে এক লাখ দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের অগ্রগতি: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিসিসি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঐক্যের পথে ৬ ইসলামি দল

আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঐক্যের পথে ৬ ইসলামি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ছয়টি ইসলামি দল এখন ঐক্যের পথে এগোচ্ছে। দীর্ঘদিনের দূরত্ব ভুলে দলগুলো এখন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন চালাচ্ছে। পাশাপাশি একক ভোটব্যাংক গঠনের লক্ষ্যে তারা আসন ভাগাভাগির আলোচনাতেও ব্যস্ত সময় পার করছে।

ইসলামি দলগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, আসন ভাগাভাগি হবে আলোচনার মাধ্যমে। প্রত্যেক দলের সাংগঠনিক শক্তি, স্থানীয় অবস্থান ও প্রার্থীর মান বিবেচনায় নিয়ে সমঝোতা করা হবে। তবে কোনো দলই ত্যাগ স্বীকার ছাড়া ঐক্যে যেতে রাজি নয়।

জামায়াতের প্রস্তুতি ও সম্ভাব্য ছাড়

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার গত ৩ অক্টোবর খুলনায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, “সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলে জামায়াত আগামী নির্বাচনে ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে। যেসব আসনে জয়ের সম্ভাবনা কম, সেসব আসন দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ৩০০ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও বাস্তবে হয়তো ২০০ আসনে লড়ব, বাকি আসনগুলো সমঝোতায় ছেড়ে দিতে পারি।”

সমঝোতার কাঠামো

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক শীর্ষ নেতা জানান, প্রথমবারের মতো ইসলামি দলগুলো একক ভোটব্যাংক তৈরির চেষ্টা করছে। “বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান ভালো, সেখানে জামায়াত প্রার্থী দেবে না। আবার কক্সবাজার বা পাবনায় জামায়াতের প্রভাব থাকায় অন্যান্য দল সেসব আসন ছেড়ে দেবে।”

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, “সমঝোতার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক শক্তি, প্রার্থীর মান ও সমাজে তার অবস্থান—সব বিবেচনায় আনা হবে। সবার মধ্যে ত্যাগের মানসিকতা থাকতে হবে।”
তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার আগেই সব সমঝোতা চূড়ান্ত করতে চান তারা।

মাওলানা মামুনুল হকের দল বিএনপির দিকে ঝুঁকছে কি না—এমন প্রশ্নে ইউনুস আহমাদ বলেন, “তিনি (মামুনুল) স্পষ্ট করে বলেননি। তবে আমাদের লিয়াজোঁ কমিটিতে তার দলের প্রতিনিধি রয়েছেন, আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করছি।”

প্রার্থী বাছাইয়ে নেতৃত্বের অগ্রাধিকার

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালউদ্দীন আহমদ বলেন, “প্রার্থী বাছাইয়ে জনসমর্থনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতা বা দলের আমিরদেরও গুরুত্ব দিতে হবে। ছোট দলের জনপ্রিয়তা কম হলেও তাদের নেতৃত্বকে অবহেলা করলে ঐক্যে ফাটল ধরতে পারে।”

আলোচনায় যেসব দল

বর্তমানে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনায় আছে—
১. বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
২. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
৩. বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
৪. খেলাফত মজলিস
৫. নেজামে ইসলাম পার্টি
৬. বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন

সূত্র বলছে, ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকেই এসব দল একক ভোটব্যাংক তৈরিতে কাজ করছে। তবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

অন্যদিকে, মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিসেরও বিএনপির সঙ্গে সমঝোতার গুঞ্জন রয়েছে। তবে জালালউদ্দীন আহমদ বলেন, “বিএনপির সঙ্গে জোটের খবর বানোয়াট। ২৫ অক্টোবর আমাদের শুরা সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page